অংশীদার
আর ব্যক্তি স্বার্থে নয়,
প্রেমকে এবার জাতীয়করণ করেছি।
আমার এ প্রেমে মানুষ জীবজন্তু
এবং প্রকৃতি, সবাই সমান অংশীদার।
তোমরা আমায় বিভাজন কর
এবং যার যে অংশ পাওনা
নিয়ে যাও, সুতীক্ষ্ণ বিচারে।
কেননা,
প্রেমের এ দায়িত্বভার
একা আর বইতে পারি না।
প্রেম তুমি
প্রেম তুমি অনাদি কালের কল্পনা
নর-নারীর শাশ্বত বাসনা
কবির কবিতা তুমি দুঃসহ যাতনা
প্রেম তুমি কাজল নয়যনের মুগ্ধ চাহনী
নারীর কোমল দেহের উষ্ণতায়
হৃদয় লুট করে নেয়া মনের যাতনা।
প্রেম তুমি বিধাতার কৃপা, অশরীরী সত্বা
বাঁকা ঠোঁটের হাসি তুমি, অশ্রুর বন্যা
দু’টি মনের সাধনা তুমি, মিলনের ইচছা
অনুভুতির গভীরে থাক তাই খুঁজে পাইনা।
মুক্তি
প্রসব বেদনার মত
নিয়ত পীড়নে রত
আমার এ প্রেম হৃদয় গর্ভে
অথচ প্রেমাকুল মন
পারে না কারেও ভালবাসতে
বিচ্ছেদ সংশয়ে।
প্রেম নামক পিঞ্জরাবদ্ধ পাখিটি আমার
পাখা ঝাপটায় মুক্তি খুঁজে কিন্তু-
পারে না বিবেকের অনুশাসনে।
প্রেম আমার অবাধ স্বাধীনতা চায়
আর শাসন নির্যাতন নয় মুক্তি চাই শ্লোগানে।
কিন্তু, ওর মুক্তি নেই।
কেননা, মুক্তি পেলে
ও যে জড়িয়ে যাবে প্রেমের জটিল জালে
ক্ষত বিক্ষত হতে হবে
আশা নিরাশার দ্বন্দ্ব-সংঘাতে
চুর্ণ-বিচুর্ণ হবে স্বপ্ন উল্লাস, নশ্বর ধরাতলে।
তাই তো বলি-
হে প্রেম পাখী, যদি এতই আসক্তি
তবে ভালবাস কোন অবিনশ্বরে।
নারী তুমি
নারী তুমি গোলাপ লতিকার দেেহ
কচি পাতার মৃদু সমীরণ প্রবাহ।
নারী তুমি উষা স্নিগ্ধতা, গোধুলী নীলিমা
পুর্ণিমার চাঁদ তুমি, অমাবশ্যার কালিমা।
নারী তুমি হীরের ধার, বৈজ্ঞানিকের ভ্রান্তি
যু্ক্তি জ্ঞানহীনের কুটতর্ক তুমি, পুরুষের শান্তি।
নারী তুমি শশকের ভীরুতা, লজ্জাবতীর লাজুকতা
অনলের দাহিকা তুমি, দার্শনিকের ভাবালুতা
কুইনাইনের তিক্ততা তুমি, বিড়ালে ছেবলামী।
নারী তুমি ফিটকারীর কষ, মাখনের লাবন্য
ইক্ষুদন্ডের মিষ্টতা তুমি, জলের তারল্য।
নারী তুমি কুয়াশার অশ্রু, বিশ্বের কলহ প্রিয়তা
কবির হৃদয়ে তুমি শাশ্বত উর্বর কবিতা।
বৈরাগীর প্রেম
মনটি আমার ফোটাফুল হয়ে
খোপার ঘনিষ্টতায় প্রাণ পেতে চায়।
প্রেম প্রত্যাশী চোখ দু’ টোকে এখানো
শাসনে আনতে পারিনি তাই
হৃদয়ের দ্বার খুলে প্রেমকে স্বাগত জানাই।
চাওয়া পাওয়ার এখনো অনেক বাকী
মনের জাল পেতে এখনো বসে থাকি
আবেগ ও বিবেকের মুখোমুখি বসে
এখনো চোখাচোথী হয়। অথচ-
চলনে বলনে বন্ধুরা আমায়
কখনো ভ্রম-বশে বৈরাগী বানায়।
অতৃপ্তি
কবিতার শূণ্যদেহ প্রাণ পেতে চায়
কাগজ কলমের ঘনিষ্টতায়, অথচ-
অতৃপ্ত মনে এখন আর কবিতা লিখিনা।
সময়ের তিন পা
পৃথিবীর সময় তিন পায়ে হেঁটে চলে
আমরা হাটি দুপায়ে , অনেক পেছনে তাই।
ছাবিবশ বছরের যুবক আমি
আজো জলে পাড়া পিঁপড়ার মতো ভেসে চলেছি
সাগর থেকে মহা সাগরে, মেলেনি কোন দ্বীপ
তোমাদের কণ্ট্রোলিং ব্যবস্থায় কিছু প্রেম দাও
নইলে এবার যাব মরে
হৃদয়ের ফুটো পথে জোনাকীর আলো জ্বলে
বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকি জমাট অন্ধকারে।
হাস্নাহেনা
সত্যি, হৃদয় লুট করে নিয়েছো
ভালবাসর সুগন্ধি ছড়িয়া।
তোমার ভালবাসা আমার কবিতার
খোরাক জোগায়, তৃপ্তি দেয় অনুভৃতিকে।
জানিনা, ভালবাসাই কি তোমার স্বভাব ?
হয়তো তাই, নইলে-
সাপের বিষাক্ত ফণা। সেও তোমার
আকণ্ঠ জড়িয়ে ধরে রাত্রি কাটায়
আর তুমি ও তারে সং্গ দাও।
সত্যি হাস্নাহেনা তোমার
প্রেমের দ্বার অনেক প্রশস্ত্
পরিচয়
কোথায় চলেছো কবি ?
‘এ পথে আমার প্রিয়জন গেঁছে,
দেখি কোথও খুঁজে পাই কি না।
মাথায় কি তোমার ?
এক ডালি চিন্তা। ভাবছি,-
চিনৱ ডালি কোথাও রাখা যাবে কি না।
মুখে ও কি দেখছি ?
নৈরাশ্যের কালো ছায়া । ‘চোঁখে’ ছোট নদী।
ঠোঁটের ডাগায় রেখেছি নকল হাসি।’
বক্ষে ওটা কিসের মাদুলী ?
“প্রেমের। বিধাতা দিয়েছিলেন এক টুকরো প্রেম,
সযত্নে রেখেছি বক্ষে। উনি বলেছিলেন কাজে
খাটাতে কিন্তু পারিনি। ভেবে রেখেছি-
বেলাশেষে তাঁকেই আবার ফেরৎ দিব ।”
হাতের মুঠোয় কি তোমার ?
“কবিতার বিষাদিত শব্দালল্কার। নিবে কিছু ?
না হয় ছুড়ে দিব বিশ্বশব্দ সমুদ্রে অথবা
মনের কারখানায়। তৈরী হবে নতুন কবিতা।
হে কবি, সাগারের দিকে গতি কেন ?
“ওখানে আমার সোনার ভাইয়েরা বাস করে,
আমার মানস সুন্দরীও একদিন ঝাপ দিয়েছিল
সাগরের অথৈ জলে। আমি ও নেমে দেখি
ভালবাসার গভীরতা কত ?”
মুমুর্ষের আক্ষেপ
সাধের পৃথিবীর চেহারা দেখেছি
দেখেছি মানুষ জবী জানোয়ার আর প্রকৃতি।
অন্ধকারকে ঘিরে চাঁদ সুর্যের খেলা দেখেছি
দেখেছি অনাহার দগ্ধ বিবর্ণ মুখের পাশেই
মেদ জমে উঠা ধনীর দুলালীর হাসি মুখ
চোখ ছিল বলেই দেখেছি, কান ছিল তাই শুনেছি
অন্তর ছিল বলেই অনুভব করেছি।
গাছতলার মানুষের সাথে মিশেছি
উপরের তলার মানুষের ঘনিষ্টতও পেয়েছি
পৃথিবীর সবকিছু জানা হয়ে গেছে আমার
এবার মৃত্যুতে কোন আপত্তি নেই।
দু’মুঠো ভাতের জন্য যারা বেচেঁ আছে
আমরা তাদেরই দলে
যারা বিনা চিকিৎসায় মরে যায়, কেউ দুঃখ করে না।
যাদের মৃত্যুতে মার্বেল পাথরের সমাধি হয় না
আমার তাদেরই দলে
সুতরাং মৃত্যুকে আমার এতটুকুন ভয় নেই
মৃত্যুতে আমার এতটুকুন আপত্তি নেই
অতত্রব আমি মৃত্যু চাই
পুজিবাদের মৃত্যু, জুলুমবাজের মৃত্যু
কালোবাজারীর মৃত্যু, আমার মৃত্যু ।
অভিলাষ
আর মর্ত স্বার্থে নয়
হে প্রেম, এবার চলো স্বর্গে চলে যাই
ক্ষত-বিক্ষত হোক মানুষ এবং জীবজন্তু
দ্বন্দ্ব হোক ভেতরে বাইরে।
হে প্রেম চলো যাই,
তোমায় আর খুঁজে পাবে না ওরা
উপন্যাস এবং করিতার ছন্দে
গল্পের ঘটনা অথবা নাটকের ট্রাজেডিতে।
এ জগৎ আর ভালো লাগে না-
কেননা, এখানে নরমন নেই নারীতে
জননীর স্নেহ নেই, অন্ন বস্ত্র নেই
সর্বত্রই হাহাকার-
ক্ষুধার্তের করুণ আর্তনাদে মর্মান্তিক জ্বালা
তাই চলো-
পালিয়ে যাই রাতের অন্ধকারে
থাক পড়ে প্রেম বিহীন নীরস পৃথিবী।
সত্যবাণী
ভাবতে শিখ, বন্ধু, পৃথিবীতে কেউ কারো নয়
জগৎটাই চমৎকার যাদুগার যেন,
তাই, মন নিয়ে ছেলেখেলা নয়।
এক মধ্যরাতে
বুকের ভেতরে সযত্নে লালিত এক
অনাবাদী পাষাণ প্রেম
আমার হৃদয়কে কুঁড়ে কুঁড়ে খায়।
অগ্নিদগ্ধ হৃদয় যখন মুহ্যমান
ঠিক তখনই তোমাকে পেয়েছি
নিরালায় কোন এক মধ্যরাতে
মানানসই পোষাকে নিষ্পাপ কায়াতে
হঠাৎ চোখে চোখ পড়তেই দু’জনে
মন্ত্রমুগ্ধ নয়নে চেয়ে রইলাম যেন যুগ যুগ ধরি,
হৃদয় থেকে হ্যদয়ে কি যেন ঘটে গেল
অবাক বিস্ময়ে শুধু তাকিয়ে থাকা
আশা নিরাশার দ্বন্দ্বে, হৃদয়ের ছন্দে
নিষ্পলক নেত্রে রঙিন সপ্নের ভাড়
বুঝি বা ‘লাইলী মজনী’ উপাখ্যাণ।
দেবী না মানবী, কোন পরিচয় জানার আগেই
হারিয়ে গেলে অজানায়
কোল বালিশটা বুকে চেপে
চোখ মেলে দেখি শুধু অন্ধকার......
‘মদন কুমার’ এখন কোথায় খুঁজে বেড়াবে তোমায়।
খুঁজে পাই না
আমি চাই শোষণমুক্ত অনাবিল প্রেম
যে প্রেমে স্রষ্টাকে অনুভুত হয়
প্রেমিকার দেহের ভাঁজে ভাঁজে
শান্তির অমোঘ কায়া, হৃদয়ের মোহমায়া
আত্না থেকে পরমাত্নায় প্রবাহিত।
সেই অনামিকা প্রেম খঁজে পৃথিবীর পথ প্রানেৱ-
মানুষের মাঝে, স্রষ্টার ধ্যানে, ক্ষুদ্র জ্ঞানে
আমি সর্বত্রই খুঁজে ফিরি এক অনন্ত প্রেম।
এমন একটা সংসার চাই-
যেখানে মমতার হাসি আছে
হাস্নাহেনার ঘ্রাণ আছে
হৃদয় স্পন্দনে, ভালবাসার কান্না আছে
প্রেমিকার দান আছে।
আমি পৃথিবীর মাঠ ঘাট প্রান্তরে
আকাশ চত্বরে, খুঁজে ফিরি স্রষ্টারে
নামাজের সিজদাতে কল্পনায় খুঁজি স্রষ্টার রূপ
কান্নাভেজা চোখে কান পেতে থাকি
স্রষ্টার সাড়া পেতে....
আমার অশ্রু মুক্তা হয়ে ঝরে ভক্তির নোনা সাগরে।
আমি নিশ্চুপ বসে বসে, পাপ পুণ্যের কথা স্মরি
তছবির নাড়ি টিপি, স্রষ্টার ধ্যান করি
হৃদয়ে নানা প্রশ্ন জাগে
কোন উত্তর খুঁজে পাই না।
জীবদঃ মৃত্যু প্রেম
এ চোখে কখনো বান ডাকে, ভেসে যাই
কখনো বা হৃদয় ভেঙ্গে তুমূল ঝড় বহে কাল বৈশাখীর
বৃষ্টি ঝরে অঝর নয়নে।
আবার কখনো বা মহাকালের স্রোতে হারিয়ে যাবার শষ্কা জাগে
জীবনঃ মৃত্যুর মুখোমুখী বসে
হৃদয় আমার ব্যাকুলিত প্রশ্ন রাখে, কি করেছি এতদিনে ?
কত দিন কত রাত কেটেছে, জীবনকে দেইনি কোন উপহার
আহা! ? কত দিন কত রাত ভেবেছি-
আমার তেইশটি বসন্তের, তেইশটি কবিতা লিখতে পারিনি।
এখনো এ বুকে প্রেম বারুদে আগুন লাগে
সে আগুন ছড়িয়ে যায় সবখানে
দেহের শিরায় উপশিরায় রক্ত কণিকায়
ছোটে প্রেমের অগ্নি স্ফুলিঙ্গ
ভস্ম করে অঙ্গ রিক্ত হয় বুক, শিক্ত হয় চোখ
পঙ্গু হয় বিবেক আমার
তবুও পঙ্গু বিবেকের শিয়রে বসি
গোপনে প্রেম আঁকি , স্বপ্ন দেখি অশরীরী সত্বার
আর কবিতা গল্পে নয়
জীবনের মূল্যায়ণ হোক কঠিন বাস্তবতায়
বেশী কিছু নয়
একখানা হাত চাই প্রেম নেবার
একটি মন চাই সুরভি রাঙানো গোলাপের মত ।
আবাদ
গত শীতের মৌসুমে
আমার বাম পাঁজরের মাঝামাঝি পতিত জমিনে
কিছু প্রেমের আবাদ করেছিলাম
তাতে বীজ বুনেছিলাম, অষ্কুর গজিয়েছিল
অভিজ্ঞ কৃষাণের ন্যায় নিয়মিত সেখানে
জল ঢালতাম, সার দিতাম
কিন্তু আগাছা চোখে পড়েনি অষ্ন্ন্ধত্বের দোষে।
বিধির বিধানে ভাগ্য রিরূপ হলো
ফসলের জমিনে লাগলো পোকা
বাসুডিন ওষুষের অভাবে নষ্ট হলো
ফসলের বাহার।
ভালবাসার উর্বর ক্ষেত খামারে লাগলো ধোকা
উপায় যে নেই কোন আর।
স্বজনী
স্বজনী আমার চেয়ে রয় মুগ্ধ নয়নে
মুখে নেই বাণী অথচ ওর অন্তর হাতড়িয়ে
খুঁজে পেয়েছি আমারই ছবিখানি এবং
ধীরে ধীরে গড়ে উঠা ভালবাসার
স্বপসৌধ এক, অতি চমৎকার
চোখে মনের কথ বলে
হৃদয়ে হৃদর কথোপকথন হয়
সে ভাষা আর কেউ বুঝে না।
তোমারই জন্যে
শুধু তোমারই জন্যে
একদিন ছেড়েছিলাম দেশ
তোমারই জন্যে ছেড়েছিলাম
ভাই বোন, আত্নীয় পর, সবাইকে ---
আত্ম প্রত্যয়ে কেবল তোমাকেই
ভালবাসার ছাড়পত্র দিয়েছিলাম
শুধু তোমারই কপালে সিঁদুর পড়াবো বলে
হাতিয়ার ছঁয়ে শপথ নিয়েছিলাম
হিংস্র পশু হতে তোমাকে বাঁচাতে
কেবল তোমরই জন্যে .......
আগ্নেয়াস্ত্রতে ভরে গেল দেশ
চুরি ডাকাতি হাইজ্যাকের নেই শেষ
রক্তে ভিজে গেল সবুজ বাংলা
মানুষ থেকে কোকিলের কন্ঠেও
কেবল শুনতে পেলাম শ্লোগান আর শ্লোগান
শুধু তোমারই জন্যে।
১৬ই ডিসেম্বর, আজ
শুভদিন তোমাকে পাবার
বিজয় বৈজয়ন্তি আজ তোমারই জন্যে --
প্রিয়তমা, প্রেমিকা আমার।
বহুরূপী
(’৭৪- এর দুর্ভিক্ষের পটে লেখা)
ওরে বহুরূপী বাংলা আমার
তোর রূপের তো কোথাও স্থিরতা নেই।
তোর রূপ খুঁজতে গিয়েছি, অনাহারে জর্জরিত
মানুষের ভীড়ে । অতঃ পর
তোকে খুঁজে পেয়েছি, শতছিন্ন কাপড়ে
অনাবৃত যুবতীর লজ্জা ঢাকার নিমিত্তে
কাফনের কাপড় চুরির ঘটনাস্স্থলে।
তবুও, তোর আসল রূপ খুঁজে পাইনিরে
সুখ স্বপ্ন চোখে রঙিন চশ্মা এটে দিয়ে
তোকে খুঁজে পাব কি ?
ওরে, ও বহুরূপী বাংলা আমার।
বৈরীভাব
ইদানিং
আমার চাহনীতে সবাই সন্ত্রস্ত্র
মানুষ, জীব জানোয়ার এবং উদ্ভিদ
সর্বভুখ গড়-র আমি তাই
উদরে পুরে নিতে চাই
উদ্ভিদ জীবজনৱু এবং পৃথিবীর
সব ক’টা সাগরের জল।
অভিযোগ আসে
প্রতিদিন কিছু না কিছু অভিযোগ আসে
আমার বিরুদ্ধে, যেহেতু আমি যুবক।
অভিযোগ আসে আমি নাকি হৃদয়হীন যুবক, তাই
জানালার ধারে কিংবা গৃহদ্বারে দাঁড়িয়ে থাকা
ষোড়শীর মনের কথা বুঝি না।
রাস্তায় চলার পথে কোন যুবতীতে চোখ রাখিনা
অথচ প্রতিদিন কিছু না কিছু দৃশ্য আমি চুরি করে দেখি।
অভিযোগ আসে, আমি বেকার যুবক, তাই
চাকুরীর জন্য হন্যে হয়ে ঘোরা এবং
বিভিন্ন সমাজের অবস্থা দেখাই আমার কাজ
বাড়ী, গাড়ী ও নারীতে মন নেই
গীতিকার অথচ গাইতে পারিনে গান
যদিও কবিতা লিখি ভালবাসার মালা গাঁথতে পারিনে।
অভিযোগ আসে, কাউকে ভালবাসতে পারিনে
তাই প্রেমকে জাতীয়করণ করেছি, প্রেমের কাব্য লিখেছি
অথচ কারো কাছে আমি
জীবন্ত কবিতা, গানের প্রথম কলি,
গপ্লের প্লট, না হয় উপন্যাসের কাহিনী
নাটকের নায়ক না হয় সমালোচনার পাত্র
অথচ প্রতিদিন কিছু না কছিু অভিযোগ আসে।
অধিকার
ক্ষুধার আগুনে পুড়ে ও
ওরা বাঁচতে চায় পৃথিবীতে,
ওদের বাঁচার কৌশল দেখে ব্যাথ্যা জাগে মনে
কঙ্কাল দেহ সম্বল ওদের
ফেরে পথে ঘাটে, অন্নবস্ত্রের সংস্থানে।
ওদের চোখে মুখে হতাশার ছাপ
দারিদ্রের নির্মম কষাঘাতে
হাসি ওদের ঠোঁট থেকে পালিয়েছে
কালো হাতের থাপ্পুড়ে শিরদাড়া ভেঙ্গে গেছে
বোবা কান্নায় গুমরে মরছে ওরা
অথচ নেই কোন প্রতিকার
তবে কি বাংলার অবৈধ সন্তান ওরা
নেই কি ওদের বাঁচার অধিকার।
এসো দেশ গড়ি
ওদের নিষ্ঠুরতার ঝলসে গেছে রূপসী বাংলার রূপ
তমসায় ঘেরা বাংলায় দেখি শ্মশানের ধ্বংস স্তুপ।
সোনার বাংলার ধবংশ স্তুপে আবার বাঁধলাম নীড়
দিনরাত শুধু সবুজ পাতার স্বপ্নেরা করে ভীড়।
শপথ নিলাম আমরা সবাই জাতীয় পতাকা ধরি
বাংলা মায়েল হাসি ফুটাতে ভুল না যেন করি।
এসো ভাই বোনেরা সবে এসো এ দেশ গড়ি
বাংলা মায়ের রিক্ত আঁচল ফসলে দেই গো ভরি।
পদ্মা এবং প্রত্যাশা
এ পদ্মার বিশাল দেহে, কখনো চরা পড়ে
দরিদ্র শিশুর কাংখিত, ইক্ষুগুড়ের পাটালী যেমন।
পদ্মার পার ভাংগা জমাট ফেনা
দরিদ্র অনাহারী রোগীর কাংখিত পাউরুটি যেন।
এ শীতের মৌসুমে ( এখানে চরা পড়ে)
হাঙ্গর, কুমীর এবং দেশী মাছ কিলবিল করে
রুটি খাওয়া বাঙালীর ক্রিমির মতন।
রবীন্দ্রনাথের ‘সোনার তরী ’ ইদানীং
এই পদ্মায় ভরাডুবি হয়েছে
মানসী জীবন দেবতা এখন, ভিক্ষাপাত্র হাতে
শতছিন্ন কাপড়ে দেশে বিদেশে ঘুরে বেড়ায়
এক টুকরো রুটি, দু’টি পয়সা
অথবা পুরোনো বস্ত্রের সংস্থানে।
মানসী জীবন দেবতার প্রেমে মন নেই কারো
যুবক যুবতী এখন বাস্তবতা খুঁজে
সম্প্রতি পদ্মার পানিই এখন
প্রত্যাশার অনুভুতি জোগায়।
পেমাশ্রু
সুখে নয়, নিয়ত দুঃখেরই পসরা বই
শুধু মনকে নয়, দেহকে ভালবেসে
প্রেমাশ্রুতে সমুদ্রের গভীরতা খুঁজি।
আত্মবিলাপ
ক্লান্ত অবশ দেহ টেনে টেনে
এক পা এক পা করে ছুটে চলেছি
সামনে ভাঙ্গা সেতু ---
নির্জনে আমি এক পথহারা পথিক ।
অদূরো শোঁশোঁ শব্দ, ঘুর্ণিঝড় না ট্রেনের হুঙ্কার
হঠাৎ চমকে দাঁড়ালাম--
অবশ অনুভুতি বিমূর্ষ মুখ, চোখে জোনাকীর মুদু আলো
সামনে ট্রেন। ইচ্ছা হয় একবার উঠে পড়ি
কিন' বড় ক্লান্ত, শ্রান্ত, আর না-
ট্রেন চাপা পড়ে যাব যে,
কখন ছিটকে পড়লাম মেহনতি জনতার মাঝে
ভেঙ্গে গেল স্বপ্ন ঘোর, দেখি শয্যা পরে
ঝরা পুষ্প সম আছি পড়ে।
পলাতকা
প্রেমের বাঁশরী হাতে এসেছিলে দ্বারে
গেয়েছিলে গান ভরেছিলে বুক
প্রেম সিক্ত করেছিল হৃদয় আমার
হঠাৎ গান থেমে গেল
বাঁশরী ভেঙ্গে গেল
চোখ ফেটে এলো জল।
বিস্মৃত স্মৃতি
আমার এ মনে, বহে ক্ষনে ক্ষনে বসনেৱর হাওয়া
উঠি আনমনে, ভাবনাব ছলে খুলি বাতায়ন
বসি যেয়ে কাছে, কল্পনা করি তুমি আছো পাশে
কত কথা কহি নিজ আগোচরে ভুলাতে এই আঁখিরে
জানি না প্রাণ প্রিয়ে, কেন প্রেম দিয়ে এত ছলনা
যদি চলেই যাবে, তবে কেন এত হাসি এত গান
হৃদয়ে প্রেম করেছো দান
আজি সব ভুলে গিয়ে তান
হৃদয় মাঝে দিলে বেদনার বাণ
একি তবে প্রেমিকার দান ?
সেই আঙ্গিনা
সেই আঙিনার কথা মনে পড়ে
মনে পড়ে সেদিন কথা হয়েছিলাম বলে
তোমার চোখে ঠাঁই পেয়েছিলাম বলে
খুঁজে পেয়েছিলাম হৃদয়ের তল
শপথ ছিল এ বাঁধন ছিড়বে না আর ।
আজ ইথারের কম্পনে শুনতে পেলাম
এক অলৌকিক খবর; অন্ত:সত্বা তুমি
তোমার বুকে বাজে শিশুর কলগান
আগামীতে জন্ম নেবে যে শিশু
তোমার কারখানায়-
কি নাম রাখবে তার,
কি দেবে আসল পরিচয়।
বৈপরীত্য
ছেলেবেলায় যুবক হবার জন্য উচ্চতা মাপতাম
মনে রোমান্স ছিল বলেই যাকে তাকে ভাল লাগতো
মাকড়সার প্রেমজালে জড়াতাম নিজেকে
প্রেম করার জন্য কত তাবিজ পড়েছি
অনেক নজরানাও দিয়েছি-
সময়ের হেরফেরে পাল্টে যায় মনের গতি
দিনে দিনে হয় বছর, বছরে বছরে যুগ
যুগের সঞ্চিত অভিজ্ঞতায় রোমান্স পালিয়েছে
সবকিছু এখন স্বাভাবিক হয়ে গেছে আমার
তাই কোন প্রেমই আমাকে আকুল করে না
কোন রোমান্সই আমাকে স্পর্শ করেনা
প্রাকৃতিক নৈরাশ্যতাই আমাকে বিচলিত করেছে
আশা নিরাশার দ্বৈত-সত্বাই আমাকে ভাবুক করেছে
বাউলের করুন সুর আমাকে উদাস করেছে
আমি উদাস হয়ে নিজেকে হারিয়েছি।
নায়িকা
অতঃপর অনৱতঃ চেয়েছিলে
আমার গল্পের নায়িকা হতে;
সেদিন নয়নে তোমার বর্ষা নেমেছিল।
অগ্নিকন্যা বৈশাখ
বসন্তের অবসানে লাল শাড়ীতে অঙ্গ জড়িয়ে
ফি বছর সামনে এসে দাঁড়াও
হে অগ্নিকন্যা বৈশাখ, তোমায় স্বাগত।
প্রতি বছর ভাষণে গানে কবিতার ছন্দে
বিচিত্রানুষ্ঠানে তোমায় বরণ করি নব বধুর মতো
তুমিও মানবী সাঁজো, অভিনয় কর
রক্ত মাংসের প্রেমিকার মত।
অভিনয় করঃ প্রকৃতির সাথে, দেশের সাথে
প্রাণের সাথে, এক নিখুঁত অভিনয়।
তোমার অভিনয়ে ঘুর্ণিঝড় বহে, হাসিতে বিদ্যুৎ খেলে
ধবংস হয় নগর, বন্দর, মরে অসংখ্যা প্রাণী।
কখনো তোমার রূপের ছটায় শুকোয়
মাঠ, ঘাট , পকুর, নদী, ঝলসে যায় গাছপালা
আবার কখনো মাঝে মধ্যে তুমি কাঁচকলা দেখাও
তোমার মিথ্যে মুখোশ এবার খুলে গেছে
দেখেছি তোমার ‘কমলে কামিনীর’ রূপ
আর অভিনয় নয়, এবার শান্তশিষ্ঠ গৃহলক্ষী হয়ে
বাংলায় ঘরে ঘরে শানিৱর পতাকা উড়াও
তোমার দেহ রক্ত মাংসের হোক
হে বৈশাখ, তোময় স্বাগত।
কি পারিনি
আমার আছে কিছু আভিজাত্যতা
যা সাধারণ মানুষ, পানের দোকানদার
এবং রিক্সাওয়ালা থেকে আমাকে পৃথক করেছে।
আজন্ম দারিদ্রতাই আমার পোষাক
বিলাস ব্যাসনের স্পর্শ পাইনি,
অন্নবস্ত্রের চিন্তায় মাথা ঘুরে
বাড়ী, গাড়ী টিভি, ফ্রিজ স্বাপ্নেও দেখিনি
বড় চাকুরীর অভাবে হয়নি বিদেশ যাত্রা।
অবৈধ টাকার অভাবে
ভাই বোন স্ত্রীর প্রেম থেকে বঞ্চিত।
আমার আছে কিছু অযোগ্যতা, তাই-
চুরি, ডাকাতি, হাইজ্যাক, নারী ধর্ষন
ল্যাংটাপীর, ছালাপীর, খাজাবাবা
পীর মাস্তান হতে পারিনি বলে
কারো মন জয় করতে পারিনি ;
যোগ্যতার অভাবে নেতা, গায়ক কিংবা নায়ক
হতে পারিনি বলে দুঃখ নেই;
দুঃখ সেই ভাগ্যবানদের জন্য
যাদের সিন্ধুকে আটকা পড়ে আছে
দুনিয়ার যাবতীয় সুখ আর বিলাস সামগ্রী।
ছবি তুমি ইতহাস
ছবি শুধু পটে আঁকা ছবি নও
আমার জীবনের ইতিহাস হয়ে কথা কও
তোমার ছবি দেখে কখনো চমকে উঠি
পকেট খোয়া যাত্রীর মতোন।
প্রেমের ভুবনে স্মৃতিরা কথা কয়
গীতিকা’র নারী চরিত্র এসে সামনে দাঁড়ায়
মহুয়া মদিনা যেন তোমার সহযাত্রী।
ওগো মধুমালা
সপ্তডিংগা মধুপ্রেম নিয়ে এসেছিলাম তোমার ঘাটে
বুঝতে পারিনি তা, অতঃপর একদিন
হঠাৎ দেখা লঞ্চের ক্যাবিনে
প্রতিজ্ঞাবদ্ধ কণ্ঠ তোমার কেঁপে উঠেছিল
ঠোঁটের ডাগয় ছিল গাঢ় প্রেম
করুন নয়নে ছিল ভাষাহীন দৃষ্টি
বধূবেশে যেদিন তোমায় দেখি
প্রতিবাদহীন দু’টি চোখে শুধু তাকিয়ে ছিলাম
তোমার অশ্রুসাগরে সাঁতার কেটে
সেদিন নিজেকে হারয়েছিলাম
আমি তোমায় বুকে নিতে পারিনি
অথচ সপ্তডিংগা মধুপ্রেম
তোমার ঘাটে একদিন ভীড়েছিল।
মায়ের ডাক
(৭১‘এর স্বধীনতা যুদ্ধের পটে লেখা)
কি এক দুঃস্বপ্নে ভেংগে লেগ ঘুম
হঠাৎ জেগে দেখি পৃথিবী নি:শ্বদ্ধ নিঝুম ।
রাত জাগা তারকার মিটি মিটি হাসা
ঘোষণা করেছে যেন গভীর ভালবাসা
অসংখ্য তারকার মাঝে উঠে এক ফালি চাঁদ
বলে যাচ্ছে কানে কানে এক নিষ্ঠুর সংবাদ।
ওহে বাংলার মানুষ শোন মোর কাছে
নিষ্ঠুর নিমর্ম নর-পিশাচ এসেছে দেশে।
বাংলার ঘরে ঘরে হাহাকারের একি উঠেছে তুফান-
বর্বর জংগী শাসকেরা মারছে
ছাত্র শিক্ষক আর বৃদ্ধিজীবীর প্রাণ।
বিনিময়ে ঘটেছে তাদের জীবন সংহার।
নিরস্ত্র ভাইয়ের তপ্ত রক্তে
রাজপথ হয়েছে লাল
রঞ্জিত হয়েছে পদ্মা মেঘনা
আর বুড়িগঙ্গার জল।
আকাশে বাতাসে সূর্য কিরণে
প্রতিফলিত যেন সেই তপ্ত রক্তের ছবি
সে করুন দৃশ্য তুলিকা স্পর্শে
তুলে ধরতে পারে না কোন কবি।
স্বাধীনতার তরে জীবন দিয়েছে
কত ছাত্র শ্রমিক যুবক দল
পুত্রহারা মায়ের বুক ফাটা ক্রন্দনে
ফেলেছে প্রকৃতি অশ্রুজল।
শাসনের নামে শোসক করেছিল
পশ্চিমা খান শাসক দল
শোষনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়
কৃষক শ্রমিক আর ছাত্রদল
একই নীতিতে আসৱা তোরা
একই স্বপন জাগিয়ে তোল
আর করুণায় নয়- নবশক্তিতে
ভয়ষ্করীর দুয়ার খোল।
ও হে বাঙ্গালী জাগো, জেগে তোমরা রক্ষা কর দেশ
বাংলার মাটি রক্তে রাঙ্গা একি হয়েছে তার বেশ।
তুলে লও হাতে যুদ্ধাস্ত্র ন্যায়ের পথিক হয়ে
পশ্চিমা গোষ্ঠীকে কতল করতে দ্ধিধা করো না মোটে।
ন্যায়ের পথে যুর্দ্ধ করতে করো না ভয়
লাখো শহীদের বুকের রক্ত
এদেশ হবেই হবে জয়।
রত্নগর্ভা মা আমার
(’৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধের পটে লেখ)
হে বংগ মা আমার ছালাম থাকলো হাজার বার
নীরবে কাঁদছো কেন বল একবার
রত্ন গর্ভা মা আমার ।
তোমার অশ্রুসজল নয়নের তারা
বুক ফাটা ক্রন্দন আর গভীর হতাশায় ভরা।
তোমার সন্তানেরা চেয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশ।
তোমার বক্ষ রক্তে রাংগা দেখ একবার চেয়ে
রক্তস্রোত যাচ্ছে বয়ে মাঠ ঘাট আর রাস্তা বেয়ে
মুখ ভার তোমার নাহি ফুটে তাতে হাসি
সকল বাধা ছিন্ন করে তোমায় ভালবাসি।
নিয়ো না মাগো এ বুকে কলল্ক ইতিহাস
দেখ তোমার বক্ষ জুড়ে রয়েছে কত সন্তানদের মৃতলাশ।
তোমাকে রক্ষ করার তরে করবো আমার জীবন দান
শক্রকে এবার করবো ধ্বংস এই আমাদের জীবন পণ।
শক্রর রক্তে গোছল করে জুড়াবো তোমার বুকের জ্বালা
কণ্ঠে তোমায় পড়িয়ে দেব স্বাধীনতার বিজয় মালা।
এত আপত্তি করো না আর রত্ন গর্ভা মা আমার।
মা ও ছেলে
(’ ৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধের পটে লেখ)
মা আর তার ছেলে
দুই জগতে দুইজন রহে ভিজিয়া নয়ন জলে।
মা বলে (স্বপ্নের মাঝে) বল্ বাছা বল্ কেমনে গেলি ছাড়ি
আমার বক্ষ খালি করে, কেমনে জমালি পাড়ি।
ছেলে বলে-( ফিস ফিস করে)
মরতে চাহিনি মাগো শুধুই তোমার লাগি
কত মিনতি করে মাগো জীবন ভিক্ষা মাগি।
কত ক্রন্দন করেছি মাগো জীবনে বাঁচার আশে।
তোমাকে ডেকেছি, বাবাকে ডেকেছি কাউকে পাইনি পাশে।
নানা ভাবে কত বুঝাতে চেয়েছি আমার দেশের বুলি
বুঝেনি কেহ, শোনেনি কেহ, তাই বক্ষে বিঁধেছে গুলি।
গুলি বিদ্ধ বক্ষ চেপে ধরে মাগো চেয়েছিনু একটু পানি
বিনিময়ে বর্বর পাক -বাহিনী ছুরি দিয়েছে গলে হানি।
কত ব্যথা মাগো বলতে গেলে বক্ষ যায় ফেটে
তারপর আমায় ফেলে দিয়ে আসে অথৈ জলের ঘাটে।
নদী জলে কত হাবুডুবু খেয়ে হতাশ হয়েছি হায়
তারপর দেহ হতে আমার প্রাণ বেরিয়ে যায়।
শয়নে স্বপনে রয়েছি মাগো তোমারই সাথে সাথে
বড় সুখে আছি হেথায় দুঃখ করোনা তাতে।
তুমিও আসবে, সবাই আসবে এ অজানা পথটি ধরি
আসার পথে আল্লা-রাসুলের নামটি এসো স্মরি।
তোমরা আছো যাঁরা
আমি তো একদিন চলেই যাবো
পৃধিবীর সবকিছু ছেড়ে, দূরে বহুদূরে
থাকবে শুধু চিন্তা চেতনা
আমার অনুভব ভরা পান্ডুলিপি
পৌছে দিয়ো পাঠক সমাজের অন্তরের মনিকোঠায়
আমার শব্দের মনিহার আধুনিক কায়দায়
তোমরা আছো যারা এই দুনিয়ার।
বিশুদ্ধ উচ্চারণে ধ্বনিত হোক
তোমাদের কণ্ঠের কারুকাজে কবিতার বাণী
কবিতা কণ্ঠহার কেবলই তা পান্ডুলিপি নয়
এই কবিতার মর্মকথা শ্রাব্য যদি হয়
ঝরাবে অশ্রু প্রিয়ার, ভাষাবে মায়ের বুক
দুঃখ ও আনন্দে নাচবে নব বধুয়ার চোখ
তোমরা আছো যারা
আবৃত্তি করে । কবিতা, হৃদয়ের সব রং দিয়ে
যেমনি তানসেন গান গেয়ে
নির্মেঘ আকাশে মেঘ করেছিল জড়ো
তেমনি কাব্যহীন সমাজে শ্রাব্য কর।
কবিতার মর্মবাণী, আবৃত্তির সুরেলা সভায়।
তোমরা থাকবে যারা, এই দুনিয়ার।
অমর একুশে
কালের চাকায় বাঁধা অমর একুশে
ফি’বছর আসে ফিরে স্মৃতি ডালা লয়ে।
অন্তরে জাগিয়ে যায় জাতীয়তা বোধ
জাগায় জাতীয় আশা নিরাশার স্বপ্ন
আজ এই রক্ত দিনে (অমর একুশে)
ওরা রক্ত দিয়েছিল, লাল তাজা রক্ত
পলাশ শিমুল আর জবা ফুলের মত-
অথচ রাষ্ট্রভাষা বাংলা হলোনা আজো।
আমার ভাষা রক্ষী মিছিলের জনতা
একটি নতুন জমি হয়ে জন্মিয়েছি।
অথচ স্বার্থ পরের মত বেঁচে থাকা
বিশ্বাসঘাতক আমরা, করিনি কিছু-
ওরা যে ভাষা রক্ষা করে জীবন দিল
তা স্মরণে কেবল স্মৃতি মিনার গড়ি।
দীর্ঘ শ্বাস
সময়ের হের ফের অসময়ে বুঝি
বিরুদ্ধ পরিবেশে আশ্রয় খুঁজি
বেলা শেষে দীর্ঘশ্বাসে পুষ্ট হয় দেহ।
ঘুর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাস
(‘৯১ এর ভয়াবহ ঘুর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাসের পটে লেখা)
ওই দেখ, তেড়ে আসছে রাক্ষুসী আসমান জোড়া হা.......
পেটে জ্বলে তার ক্ষুধার আগুন কোন বাধাই মানবে না।
যে যেখানে পার, পালিয়ে যাও, মহাবিপদ সংকেত
যারে পাবে তারে খাবে রাক্ষুসী আজ, এই ধরেছে জেদ।
হায়রে! জীব জানোয়ার পশু পাখী আর মানুষের কলরোল
কারো কাথা কেউ শুনতে পায় শোঁ শোঁ শুধু গোল।
ঝড়ো হাওয়ার সাথে মিশে গেছে জল, বাড়ছে জলোচ্ছাস
নব বধুয়ার কি উপায় হবে, স্বামী যে হয়েছে লাশ।
মানুষ, গরু, পাক্ পাখালীর ভেদাভেদ আজ নাই
কোথও কোন আশ্রয় পেলে সেখানে নিয়েছে ঠাঁই।
মাছুম শিশু মার গলা ধরে যেমনি ছিল ঠায়
ভাসছে তেমনি সাগরের জলে,স্বজন খুঁজে না পায়।
বাঁচার তাগিদে ভাসতে ভাসেতে কেউ ধরেছিল ডাল
কেউ বসেছিল গাছের কোটরে, কেউ বা পায়নি তাল।
গাছে ঝুলে লাশ, ডালে ঝুলে লাশ, মাটিতে মৃত দেহ
স্বজন তাদের কোথা আছে কেবা খোঁজ নিলে না কেহ।
মাছ ধরতে গিয়েছিল ধীবর, ফিরে আসেনি আর
জেলেনীরা সব কে কোথায় আছে, খবর নাই যে তার।
এ দেশ আজ মহাশ্মশান, ভয়ে শিহরে উঠে যে গা
শির আছে কারো, দেহ নাই সাথে, কারো বা রয়েছে পা।
এ ভয়াবহ তান্ডব লীলা কে দেখেছে কবে কোথা
মৃতদের তরে জানাই শ্রদ্ধা আর হৃদয়ের মর্মব্যথা।
বৈরীভাব
ইদানিং
আমার চাহনীতে সবাই সন্ত্রস্ত্র
মানুষ, জীব জানোয়ার এবং উদ্ভিদ
সর্বভুখ গড়-র আমি তাই
উদরে পুরে নিতে চাই
উদ্ভিদ জীবজনত্ত এবং পৃথিবীর
সব ক’টা সাগরের জল।
কতিপর হাইকু
১. আমানত
যাত্রাপথে মনটি আমার রাখো
যদি আবার আসি ফিরে,
সেদিন আমায় ফিরিয়ে দিয়ো।
২. পুষ্পঘ্রাণ
পুষ্প কাননে নয়ন মুগ্ধ
তৃপ্তি সুধায় আত্মা বিশুদ্ধ
শুধু পুষ্পে নয়, কাব্য ঘ্রাণে।
৩. মহা প্রলয়
এবং তুমি আছো সর্বত্র; জল স'ল শূন্যে
অথচ একদিন, অকস্মাৎ শিঙ্গার আর্তনাদে
সমসৱই এক হয়ে যাবে, সেদিন মহাপ্রলয় হবে।
৪.দৃষ্টি ভ্রম
তৃষিত প্রাণে ছুটলেম, পাব বলে ওই---
দূর ছল ছল নদীর সুশীতল জল
ক্ষন পবের বুঝলেম, জল নয় মরীচিকা ছল।
৫. বেঁধে রাখি
চেতনার সম্মোহিত আরশীতে হেরি
সস্মিত সোনামুখ প্রিয়ার
পুলকে জুড়ায় আঁখি, হৃদয় তবু বেঁধে রাখি।
অভিনন্দন
(বন্ধুবর কবি-এ,কে,এম,ফজলুল হক কবিরের প্রথম কবিতা সংকলন “ শব্দের মনিহার” প্রকাশ উপলক্ষে আমাদের অভিনন্দন)
ওহে কবি, চুপি চুপি এতকাল ধরি
হৃদয় মাধুরী দিয়ে এত কলা করি
গড়িয়াছো অপূর্ব “শব্দের মহিহার”।
তব এই প্রতিভার উদ্ধোধন ক্ষণে,
উপহার কিইবা দিবে অভাগা জনে,
হাসি মুখে লহ এই গুচ্ছ কবিতার।
যাত্রা তব শুভ হোক, মাগি রহমানে,
বিশ্ব ভরিয়া উঠুক তব মহাদানে,
হোক তব সর্বজনে সম অধিকার।
-হা:মু: ফাতেহ কবীর (শিক্ষক ও ছাত্রবৃন্দের পক্ষে)
বাকীগঞ্জ ই,সি, মাদ্রাসা।
শুভাশীষ
কোথা থেকে দু’চোখ ভরে নিয়ে এলে সাগর জর
হে ব্যথিত, হে অশান্ত, কে বর্ষাবে সান্তনার ঢল
সময় ঝরে যায় ফুলের মত
সুজন সুরভী ছড়ায় অবিরত।
শাওনের মেঘে ঢাকা রাতের আকাশ
ঝর ঝর নয়নে তার দিনের আভাস।
সুর্য উদিলে নভে: ডাইনী কেঁদে কবে
হায় কি সর্বনাশ! উজ্জল দিনের প্রকাশ।
কি যে করি কারে ধরি, শাওনের কথা স্মরি
ঝরবে অশ্রু বিন্দু তার নীরব আঁধারে
দোয়া করি ধন্য হও, জগৎ মাঝারে
জীবন মানে
ধীরে ধীরে বেড়ে উঠা
আশা আকাঙ্খার স্বপ্নময় বিস-ৃতি
চাওয়া পাওয়ার সীমাহীন পরিধি।
জীবন মানে
প্রেম,বিরহ, বেদনা
জ্বালা যন্ত্রনা- রাগ
অনুরাগ-সিক্ত
মিথ্যা প্রলোভনে বেঁচে থাকার সাধনা।
জীবন মানে-
ভাল লাগা, ভালবাসা
হাসি কান্না, সুখ দুঃখ
শোক তাপ জ্বালা
অনুতাপ পরিতাপ ভরা
সংগ্রামময়, অননৱ জীবন -স্্েরাত।
জীবন মানে-
যৌনতার মাধ্যমে বংশ বিসৱার
জীব ও জড়ের মাঝে সংগ্রামে টিকে থাকার কৌশল।
জীবন মানে-
আরাম আয়াস ভোগ-লালসা
ছটফটানী অসিৱরতা
বেশী পাওয়া লোভে প্রতিযোগিতা
ভাল মন্দ, পাপ পূন্যের বাছ বিচারে বিবেকের দংশন
জীবন মানে-
মরণ, বেহেশত দোযখ পুরস্কার তিরস্কার
সাপ বিচ্ছু পিপিলিকার অত্যাচার
অন্ধকারে একাকী.......
এক কঠিন দিবস জবাব দিহিতার।
আত্ন জিজ্ঞাসা
এ,কে,এম, ফজলুল হক কবির
কে তুমি ?
পিতা মাতার একানৱ কামনার ধন
তিলে তিলে গড়ে উঠা আমি একজন -
মটির তৈরী মানুষ আল্লাহর দান
তারই ফুৎকারে থাকি সদা কম্পমান।
কোথায় ছিলে এতদিনে?
লাহুতে ছিলাম নবী (সাঃ) নূরে মিশে
জাবারুত-মালাকুতের মাঝে নূরের বেশ ধরি
ধরাধামে অবতরন করি জেসমানি পোশাক পড়ি ।
তুমি আসলে কি ?
চলমান কারখানা আমি, আজব ব্যাপার
শ্বাস প্রশ্বাসে বেঁচে আছি কৌশল বিধাতার
অবসম্ভারী মৃত্যু জেনেও বেঁচে থাকার আশা
প্রেম বিরহে খুঁজে পাই আশা নিরাশা
দ্বন্দ সংখাতে থাকে হাসি কান্নার খেলা
প্রতি মহুর্তে ক্ষয়ে যায় জীবনের ভেলা
শত অভাব অনটনে করি সৎ জীবন যাপন
ধর্মীয় প্রেরনায় মানি কঠিন অনুশাসন
কি চাও তুমি ?
মানবীয় গুনে আমি দীপ্ত হতে চাই মহান স্রষ্টাকে খুঁজে তবে যদি পাই
প্রতি ক্ষনে তার আদেশ নিশেধ
পালনে ব্রতি রবো, না থাকে যেন কোন খেদ
এমনি জীবন চাই করতে গঠন
যেন জিকিরের সাথে করি মরন বরন
বেহেশত দোযখ কিছু বুঝি না কো আমি
খোদা প্রেমে মুগ্ধ রই তিনি মোর স্বামী।
সময় হয়েছে এবার
সারাদেশে আজ
চলেছে সন্ত্রাসী রাজ
জুলুম ধর্ষণ অপহরন কাজ
অবধে চলছে আর চলছে ----
গাড়ী কিনতে বাঁধা
বড়ী করতে চাঁদা
নব বধূ ছিনতাই করে দাদা
বধূকে হারিয়ে বরের থানায় গিয়ে কাঁদা
সাহায়তা পায় না সে বড় দারোগার
সুখের খর ভাঙ্গলে যারা বিচার নেই তার।
চুপ কেন প্রশাসন আজ
অপরাধ দমনে কি এতই লাজ ?
বিবেকবানদের মাথায় টনক নড়েছে আজ
ঐক্যবদ্ধ হবার সময় হয়েছে এবার
দেশের ষোল কোটি জনতার
নেতায় নেতায় কাদা ছুড়াছুড়ি
কথায় ফুল ঝুড়িতে দিয়ে সুড় সুড়ি
দলীয় করনে তার নেই যে জুড়ি।
আজ জনতা দিয়েছে সাড়া
ধররে সন্ত্রাসী তারা
ছিনতাই করছে কারা
আপহরন আইনের ধারায়
উচিৎ শিক্ষা পাবে তারা ।
অপকর্মে কথনো ভাই মিলেনা ভাই শানিৱ
শুধুই অশানিৱ বাড়ে বাড়ে শুধু ক্লানিৱ
ধর্মের বর্মে কর তোমার দিল সাফ
আল্লাহর দরবারে হয়তো বা পাবে মাফ
সকলের ধমীয় অন্দুভুতি জাগাবে যখন
এমনিতেই হয়ে যাবে সন্ত্রাস দমন।
এ কেমন স্বাধীনতা
ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তেগড়া যে স্বাধীনতা
নষ্ট নেতার ভ্রষ্ট কোন্দলে তা কুলুষিত
শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস সর্বত্র
ওরা মশী ছেড়ে আসি নিয়েছে তুলে
সহিংসাতায় লিপ্ত দ্বন্দ-সংঘাতে
বিধসৱ ছাত্র মনন মেধা
রক্ত পিপাসু সীমারের আখড়ায় বন্ধি
নিরীহ কৃষক শ্রমিক জনতা
নেই কারো জীবনের নিরাপত্তা
এ কেমন স্বাধীনতা ?
মা বোনের ইজ্জত নিয়ে খেলা সর্বত্র ধর্ষন অপহরন অশ্লীলতা
জবায়ুর স্বাধীনতায় বিশ্বাসী যারা
ক্ষমতার জোড়ে পাল্টাতে চায় জীবনের ধারা
উশৃঙ্খল বানাতে চায় জনতা
এ কেমন স্বাধীনতা ।
কলঙ্ক দাগ
সোনার বাংলার একি হাল
চার দিকে ষড়যন্ত্রের জাল
ক্ষমতা লোভী সন্ত্রাসী দল
বোমা ফাটায় দেখায় বল।
হাটে মাঠে ঘাটে বোমা
জনগনের নেই যে ক্ষমা
সিরাজদৌলার বাংলাদেশে
কত মীর জাফর বেজায় হেসে
মিথ্যা বোলে নাড়ায় ঠোঁট ।
মৌলবাদী সব হয়েছে জোট
কায়েম করবে ইসলামী কোট ।
মনের দুঃখ নেতার দল
ঘন ঘন ডাকে হরতাল ।
সংখ্যা লঘুর প্রতি অত্যাচার
তোমরা এসে কর বিচার ।
বুশ- ব্লেয়ার দাদা ভাই
তোমাদের ছাড়া রক্ষা নাই।
নষ্ট নোতার ভ্রষ্ঠ নীতি
হরতালে শুধু দেশের ক্ষতি
সোনার দেশে কলঙ্ক দাগ
বুশ ব্লেয়ার খুঁজছে ফাঁক ।
চাই না হরতাল চাই উন্নতি
দূর হয়ে যাক সকল (দুর্ম্মতি)।
সুখ নাইরে পাগল
পৃথিবীটা ছোট হয়ে গেছে
টিভির পর্দায় ভাসে বিশ্বের ছবি
ইথারে ইথারে ------
কম্পিউটারের কাধে দায়িত্ব দিয়ে
নর-নারী মত্ত
অবাধ যৌনচারে ।
অশ্লীল নারী নৃত্যে বহে
আদি রসের বন্যা
জবায়ুর স্বাধীনতায়
জন্ম নেয় উচ্ছৃঙ্খলতা ।
নর বাড়ছে, ঘর বাড়ছে।
বাড়ছে বুদ্ধি
তবু হয় না আত্ম শুদ্ধি।
কারখানার বিষাক্ত ধূয়ার ।
প্রচন্ড তাপমাত্রায় বিধ্বসৱ ওজন সৱর ,
অবাধ পশু পাখী নিধনে
ও রা হারিয়েছে ঘর,
মরন ফাঁদে পড়ে কাঁদছে
মানুষ গাছ, মাছ-
অনেক ভেবে চিনেৱ -
মন আমার চিৎকার করে কয়
সুখ নাইরে পাগল সুখ নাই।
সন্ত্রাস সমাধান
(জোড় জূলুম) ভয় দেখিয়ে আদায় করা
এর নাম সন্ত্রাস
প্রয়োজনে গুলি ছুড়ে কেঁপে উঠে ক্যাম্পাস।
পেশা যাদের চাদা নেয়া তাদের বলে চাঁদা বাজ
সন্ত্রাস আর চাঁদাবাজির কবলে আজ মহারাজ।
জোড় করে ছিনিয়ে নেয়া এর নাম ছিনতাই
ছিনতাই আর সন্ত্রাসী এরা কিনৱ ভাই ভাই।
ছিনতাই আর সন্ত্রাসে ভরে গেছে দেশটা
রাতে দিনে ঘটে যাচ্ছে সাংঘাতিক এ কেসটা।
জন নিরাপত্তা আইন করে, সরকার থেমে নেই ।
প্রকৃত সন্ত্রাসীর মাথা কিনৱ থামে নাই।
নেতাদের ছত্রচ্ছায় ধরা পড়ার আশা কম
নেতা বিহীন সন্ত্রাসে নিশ্চয়ই আসে যম।
সন্ত্রাস দমনে পিতা মাতা নজর দিন
সনৱান কোথায় যায় নিয়মিত খবর নিন।
শিক্ষক লক্ষ্য করুন ছাত্র দের হাব-ভাব
ভাল বেসে উপদেশে পাল্টেদিন মানোভাব।
প্রশাসন খোঁজ নিলে এলাকা বাসীর
নিশ্চয়ই মিলে যাবে চিহ্নিত সন্ত্রাসীর
কবির কাছে প্রত্যাশা শাহনামার মত বই
মনোভাব পাল্টে দিবে সে রকম কবি কই ?
ধমীয় নেতার কাছে সবিনয় অনুরোধ
ধর্মের মহিমায় গড়েন জাতীয় মূল্যবোধ।
শূন্যতা
শূন্য আকাশে ভাসমান রবি ছড়িয়ে দেয় খরা
শূন্য গগনে ধোয়টে মেঘে শানৱ করে যে ধরা ।
নীল নভে: যবে পূর্নশালী সৌন্দর্য্যে মনোহরা
অসীম শূন্যে মিটমিট জ্বলে সহস্র কোটি তারা ।
দিবাশেষে রাত আসে, ধীরে ঋতুচক্র হেতু-
মাঝে মধ্যে হেরি শূন্য আকাশে বিশাল ধৃমকেতু।
শূন্য ছায়া পথে ফেরেসৱা চলে অনাদী কাল হতে
রাসুল গেলেন বোররাকে চড়ি সে পথে এক রাতে।
চলার পথে কত কি দেখেন বেহেসৱ দোযখ আর
বনধু কৃচ্ছ সাধনায় লভেন আল্লাহর দীদার
সপ্ত আসমানে বিরাজে স্রষ্টা কেতাব কুরানে কর
শূন্য এ বুকে বাস করেন তিনি কথা মিথ্যা নয়।
সংখ্যার চেয়ে শূন্যের মান অনেক বেশী দামী।
হৃদয় মাঝে কি কথা বাজে জানেন অনর্ৱযামী।
যদি লাইগ্যা যায়
যদি এমন হয়
কথা মিথ্যা নয়
লটারীর ৪০ লক্ষ টাকা আমার ভাগ্যে হয়।
এতো টাকা পেলে হাতে
যদি বিপদ বাড়ে তাতে
আগে ভাগে দ,চার আনা করবো আমি দান
দেশ-বিদেশে জানবে; চিনবে বাড়বে আমার মান।।
প্রইভেট কার কিনে তাতে চড়বো কয়েক জন
এদিক সেদিক ঘুরে ফিরে তৃপ্ত করবো মন।
শহর মাঝে বড় একটা বাসা করে তাতে
গেটের ধারে সুন্দর বাগান করবো নিজ হাতে
যখন সবাই জেনে যাবে আমার টাকার খোজ
ধরবে সবাই দিতে হবে, বড় রকম ভোজ
ভাই বলবে রঙিন টিভি, বোনের গলার হার
আম্মা বলবে ফ্রিজ গয়না আনবে ভিসিআর ।
কেউ বলবে চাঁদা চাই
কেউ বলবে দাদা ভাই
বড়ই বিপদে আছি ধার কিছু চাই।
এতো কিছু ভেবে চিনেৱ মাথা আমার ঘুরে
চোর ডাকাতের কথাও আবার রাতে মনে পড়ে।
এবার আমি ঠিক করেছি বুদ্ধি করে পাকা
ঘরের মেঝে গর্ত করে রাখবো সকল টাকা
কাউকে দেবনা কিছু টাকার খুবই দাম
টাকা কামাই করতে ঝরে লবনাক্ত ঘাম।
nice
ReplyDelete